১৯৪৭ খ্রি: ৩১ শে জানুয়ারী লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস্ এর মালিক বাবু ক্ষেত্র লাল ঘোষ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানগণের শিক্ষার জন্য লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস্ পাঠশালা নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মিলটিকে জাতীয়করণ করেন। পরবর্তীতে ১লা জানুয়ারী ১৯৭৫ সালে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগীতায় বিদ্যালয়টি অবৈতনিক জুনিয়র বিদ্যালয় (৮ম শ্রেণি) পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে ।

 

১৯৭৯ সালে তৎকালীন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সভাপতি জনাব এম এ মোতালেব এবং সাধারন সম্পাদক কাজী আমীর প্রধানসহ সকল নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ১লা জানুয়ারী, ১৯৮০ সাল হতে ঢাকা বোর্ড এটিকে অবৈতনিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

 

২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের সিংহ পুরুষ, আমাদের অহংকার, নারায়ণগঞ্জ-০৪ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব এ.কে.এম শামীম ওসমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভুক্ত করেন। এরপর থেকে অদ্যাবদি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টি অত্র এলাকায় সুনাম ছড়িয়ে যাচ্ছে।

 

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ২৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রভাতী ( বালিকা) ও দিবা (বালক) শাখায় ভাগ হয়ে সুনামের সাথে শিক্ষা দান করছে। বিদ্যালয়টিতে অভিভাবকদরে বসার জন্য পৃথক কক্ষ আছে। নামাজের কক্ষ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে।